সরকারীভাবে ইপিএস এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে চাকুরী ভিসায় যারা আসতে চান তারা পুরোটা লেখটা পড়বেন।
৪ জুন ২০০৭ তারিখে বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতার আওতায় Employment Permit System (EPS) এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিক প্রেরণ করে থাকে বাংলাদেশ, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে (বোয়েসল) সেন্ডিং এজেন্সি হিসেবে কাজ করে থাকে। BOESL এর মাধ্যমে সমস্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে।
BOESL অনলাইনের প্রি- রেজিস্ট্রেশন এর তারিখ আবেদন ঘোষনা এবং প্রয়োজনের বেশি আবেদন করে থাকলে লটারির ব্যবস্থা, সমস্ত কাগজপত্র জমা নিয়ে থাকে। সমস্ত তথ্য BOESL ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখতে পারেন www.boesl.org.bd
1. সরকারীভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সার্কুলার 2023
2. সরকারীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে চাকুরীর যোগ্যতা
ইপিএস এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকুরীর জন্য কর্মীদেরকে অদক্ষ কর্মী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভাষাগত যোগ্যতাই মূল বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মানসিক যোগ্যতা হিসাবে কোরিয়ান ভাষার পরীক্ষার পাশাপাশি স্কীল টেস্ট নেওয়া হয়। এসএসসি পাশ, শরীরিক ভাবে সুস্থ, শরীরের কোন অঙ্গ বিকলাংগ না, বয়স 18 বছর থেকে 39 বছর হলে অনলাইন প্রি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবে।
যোগ্যতাঃ
1. বয়স 18 বছর থেকে 39 বছর পর্যন্ত।
2. বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে মেশিন রিডেবল বৈধ পাসপোর্টের (মেয়াদ কমপক্ষে 6 মাস থাকতে হবে)
3. পাসপোর্টের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম, বাবা মায়ের নাম এবং বয়স মিল থাকতে হবে এবং সার্টিফিকেটের সাথেও পাসপোর্টের মিল থাকতে হবে।
4. শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এস.এস.সি/সমমানের ডিগ্রি/ভােকেশনাল/ডিপ্লোমা ডিগ্রী (ভোকেশনাল প্রার্থীদের আলাদা কোটা আছে)।
5. কালার ব্লাইন্ডনেস ও রঙ বুঝার দুর্বলতা নেই ।
6. কোরীয় ভাষা পড়া, লেখা ও বুঝার পারদর্শিতা থাকতে হবে।(যদিও অনেকে অনলাইনের আবেদনের পর পড়াশোনা শুরু করে!)
7. যাদের ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোন শাস্তি হয়নি।
8. যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করেনি।
9. মাদকাসক্ত ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
10. যারা কোরিয়ায় ই৯/ই১০ ভিসায় সর্বমোট ৫ বৎসরের বেশি থাকেনি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকুরীর জন্য যারা অযোগ্যঃ
· বয়স 39 বছরের উপরে্
· যাদের ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোন শাস্তি হয়েছে
· কালার ব্লাইন্ড (লাল, সবুজ, নীল, বেগুনী ইত্যাধি কালার বুঝতে সামস্যা)
· যক্ষা, হেপাটাইটিস, এইডস ইত্যাদি মরনব্যাধিতে সংক্রমিত হয়ে থাকলে
· যারা মিনিমাম এসএসসি পাশ করতে পারেনি।
· পাসপোর্টের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম এবং বয়স মিল নাই।
· বিকলাংগ আছে অর্থাৎ শরীরের কোন অঙ্গ যেমন হাতের বা পায়ের আঙ্গুল নেই বা অংশ বিশেষ নেই।
ইপিএস লম্বা সময়ের প্রক্রিয়া। এর অনেকগুলো ধাপ রয়েছে।
1. প্রথমেই আপনাকে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে।
2. অনলাইনে প্রি-রেজিষ্ট্রেশন আবেদন করা
3. ইপিএস পরীক্ষার ও ফলাফল
4. লটারীতে নাম (এইচআরডি কোরিয়ার থেকে আসা কর্মী চাহিদার চেয়ে আবেদন বেশী হলে)
5. আবেদনপত্র, পাসপোট স্কেন কপি, ব্যাংকড্রাফট জমা দেওযা।
6. ভাষা পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া
7. ভাষা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ
8. “স্কীল টেস্ট“ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ
9. মেডিক্যাল রিপোর্, এবং অন্যন্যা কাগজ্ পত্র জমা দেওয়া
10. এইচআরডি কোরিয়াতে রোস্টারভুক্ত হওয়া
11. ইস্যু হওয়া
12. ট্রেনিং করা
13. সিসিভিআই ইস্যু
14. ফ্লাইট ঘোষনা
15. কোরিয়াতে 3 দিনের ট্রেনিং
16. কোম্পানিতে যোগদান
#1) কোরিয়ান ভাষা শিক্ষাঃ যাদের স্বপ্ন দক্ষিণ কোরিয়াতে ক্যারিয়ার গড়বেন তারা কোরিয়ান ভাষার কোর্স বা বেসিক ভাষা জেনে রাখা উচিত। এইচআরডি কোরিয়ান ইপিএস সার্কুলার দেওয়ার পর লটারীতে নাম আসলে সাথে সাথে পুরোদমে কোরিয়ান ভাষা পড়াশুনা শুরু করে দিতে হবে। কোরিয়ান ভাষা প্রথমে কিছুটা কঠিন মনে হলেও চর্চা করতে থাকলে একদম সহজ মনে হবে। আপনাকে কোরিয়ান কোরিয়ান ভাষা শিখতে হলে একটি শিশু মতো হতে হবে যেমনটি বয়স ছিল আপনার অ, আ, ক, খ, লিখতে হতো ও পড়াতে হতো, তা না হলে আপনি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারবেন না। বর্ণমালা শিখা শেষ হলে কিভাবে কোরিয়ান শব্দ গঠন করা এবং উচ্চারণ করা শিখতে হবে।
কোরিয়ান ভাষা পৃথিবীর অন্যন্যা ভাষার থেকে আলাদা মর্যাদা রয়েছে কারণ এভাষা কোরিয়ার জোসন আমলের রাজা সেজোং আবিষ্কার করেন 1443 সালে এবং সাধারন মানুষের কাছে ব্যবহারের জন্য তুলে দেন 1446 সালে। তার আগে কোরিয়াতে লেখার জন্য কোন বর্ণমালা ছিলনা, কোরিয়ানরা চাইনিজ হাঞ্জা নামক বর্ণমালা লেখার জন্য ব্যবহার করতো, যা ছিল কোরিয়ান সাধারণ মানুষের কাছে খুবই কঠিন।
#2 অনলাইনে প্রি-রেজিষ্ট্রেশন আবেদন করা
দক্ষিণ কোরিয়ার ইপিএস সার্কুলার সাধারণত বছরের মার্চ মাসে হয়ে থাকে এবং পরীক্ষাও এই সময়ই হওয়ার কারণে অনেকেই পরীক্ষা ভালো করতে পারতো না, সেজন্য শিক্ষার্থী যাতে পরীক্ষার প্রিপারেশন জন্য একটু বেশী সময় পায় তার জন্য 2020 সালের সিবিটি পরীক্ষার সার্কুলার 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে, 3 মাস পূর্বে সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল। তবে করোনার কারণে পরীক্ষা হয় নাই। হয়তো 2021 সালের ফেব্রুয়ারী হওয়ার সম্ভব্য ঘোষনা দেওয়া হয়েছে।
BOESL অনলাইনের প্রি- রেজিস্ট্রেশন এর তারিখ আবেদন ঘোষনা এবং প্রয়োজনের বেশি আবেদন করে থাকলে লটারির ব্যবস্থা, সমস্ত কাগজপত্র জমা নিয়ে থাকে। সমস্ত তথ্য BOESL ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখতে পারেন www.boesl.org.bd
# 3 সিবিটি বা ইপিএস কোরিয়ান ভাষার টপিক পরীক্ষার ও ফলাফল
কোরিয়ান ভাষার বর্ণমালা এবং শব্দ পড়তে পারলে, তারপর এইচআরডি কোরিয়া কর্তৃক প্রকাশকৃত ইপিএস টেক্সবই থেকে পড়তে হবে। বইটিতে মোট 60টি অধ্যায় রয়েছে। এখানে কোরিয়ান ভাষা ব্যাকরণ, কোরিয়ান সংস্কৃতি, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ভাষা, কর্ম্ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ভাষা ইত্যাদি বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
ইপিএস পরীক্ষাকে CBT (Computer Based Test) বলা হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে এই পরীক্ষ হয়ে থাকে। এমসিকিউ বা নৈর্ব্যত্তিক পদ্ধতিতে হয়ে থাকে, যা একদম সহজ, চারটা অপশন দেওয়া থাকে এখান থেকে একটি বাছাই করে জাস্ট ক্লিক করে দিবেন । যাদের আগে থেকেই কম্পিউটার চালাতে অভিজ্ঞ তাদের জন্য অনেক সহজ হয়। যাদের কম্পিউটার চালানোর অভিজ্ঞতা নেই তারা পরীক্ষার পূর্বে কম্পিউটার কিভাবে চালাতে এবং মাউস ঘুরানোর ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে নিবেন। পরীক্ষার সময় দেখা যায় ছবিগুলো অনেক বড় করে আসে সেক্ষেত্রে অনেকে সমস্যায় পড়ে সেক্ষেত্রে মাউস দিয়ে ছবি নিচে নামালে অপশন পাওয়া যায়।
বাংলাদের ইপিএস সেন্টারে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার সময় আপনাকে আপনাকে একটি কম্পিউটার দেওয়া হবে। পরীক্ষা দুই ভাগে হয়ে থাকে রিডিং এবং লিসিনিং । পরীক্ষায় রিডিং-25টি এবং লিসিনিং- 25টি প্রশ্ন মোট 50টি প্রশ্ন থাকে। একটি প্রশ্নের জন্য থাকে 4 মার্ক তাহলে মোট 200 নাম্বার হয়ে থাকে।
ইপিএস পরীক্ষায় সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আপনি কত নাম্বার পেয়েছেন তা কম্পিউটারের মনিটরে ভেসে উঠবে কিন্তু কত নম্বরে পাশ এটা আপনি বুঝতে পারবেন না তবে যত বেশি ভালো নাম্বার পান ততই ভালো পরীক্ষা সবার শেষ হওয়ার পর কত নাম্বারে চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশনের জন্য ডাকা হবে তা বোয়েসেল নোটিশে জানানো হবে
#4 ইপিএস বা দক্ষিণ কোরিয়ার চাকুরীর লটারী
ইপিএস টপিক পরীক্ষার জন্য Pre-registrationসাধারণত কয়েক লক্ষ আবেদন পড়ে থাকে এখান থেকে সবাইকে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না। তাই এই এইচআরডি কোরিয়ার কর্মীর চাহিদা মোতাবেক লটারি ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত এক হাজার থেকে দুই হাজার কর্মীর চাহিদা পত্রের জন্য দশ হাজার থেকে 15 হাজার জনের লটারী বিজয়ী নাম প্রকাশ করে থাকে বোয়েসেল বা ইপিএস সেন্টার বাংলাদেশ।
#5 আবেদনপত্র, পাসপোট স্কেন কপি, ব্যাংকড্রাফট জমা দেওয়া।
লটারিতে নাম আসার পর বোয়েসেল নোটিশ মোতাবেক তারিখ ঘোষণা করা হবে। তারিখ অনুযায়ী আপনাকে বোয়েসেলে গিয়ে আবেদনপত্র, পাসপোর্ট স্ক্যান কপি, ব্যাংক ড্রাফট জমা দিতে হবে এবং সাথে করে মূল পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে
#6 ভাষা পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া
কোরিয়ান ভাষা তথা সিবিটি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আপনাকে কোন একজন শিক্ষকের কাছ থেকে নির্দেশনা নিতে হবে। ইপিএস টপিক এর উপর যাদের পড়ানোর ভালো অভিজ্ঞতা আছে বা যারা দক্ষিণ কোরিয়াতে জব করেছিল, কোরিয়ান ভাষায় দক্ষ, ইপিএস টপিক পরীক্ষা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা আছে তাদের কাছ থেকে কোচিং করা বা পরামর্শ নেওয়া ভালো।
এছাড়াও সারা বাংলাদেশ প্রচুর কোরিয়ান ভাষা কোচিং সেন্টার রয়েছে যেমন - ঢাকার ফার্মগেট কোরিয়ান কালচার এইড, বিজয় কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র, উরি কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র ইত্যাদি। কোরিয়ান ভাষা কোচিং সেন্টার গুলোতে আপনার মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে । মডেল টেস্ট পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো করা যায়। তবে পরীক্ষা যেহেতু সৃজনশীল তাই কোন কিছু নিশ্চিত করে বলা যায় না। কোরিয়ান ভাষার শব্দার্থ ও ব্যাকরণ যে যত বেশী জানবে সে ততবেশী পরীক্ষায় ভালো করবে। লিসেনিংয়ের জন্য কোরিয়ান ভাষার উচ্চারণের নিয়মগুলো ভালো করে জানা থাকা উচিত। পাঠ্যবইয়ের লিসেনিংগুলো সব সময় শুনলে ভালো করা যায়।
#7 ভাষা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ
ইপিএস টপিক পরীক্ষাকে CBT (Computer Based Test) পরীক্ষাও বলা হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে এই পরীক্ষ হয়ে থাকে। এমসিকিউ বা নৈর্ব্যত্তিক পদ্ধতিতে হয়ে থাকে, যা একদম সহজ, চারটা অপশন দেওয়া থাকে, এখান থেকে একটি বাছাই করে জাস্ট ক্লিক করে দিবেন । যাদের আগে থেকেই কম্পিউটার চালানোর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য পরীক্ষাটি অনেক সহজ মনে হয়। যাদের কম্পিউটার চালানোর অভিজ্ঞতা নেই তারা পরীক্ষার পূর্বে কম্পিউটার কিভাবে চালাতে এবং মাউস ঘুরানোর ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে নিবেন। পরীক্ষার সময় দেখা যায় ছবিগুলো অনেক বড় করে আসে সেক্ষেত্রে অনেকে সমস্যায় পড়তে হয়, সেক্ষেত্রে মাউস দিয়ে ছবি নিচে নামালে অপশন পাওয়া যায়।
বাংলাদের ইপিএস সেন্টারে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার সময় আপনাকে আপনাকে একটি কম্পিউটার দেওয়া হবে। পরীক্ষা দুই ভাগে হয়ে থাকে রিডিং এবং লিসিনিং । পরীক্ষায় রিডিং-25টি এবং লিসিনিং- 25টি প্রশ্ন মোট 50টি প্রশ্ন থাকে। একটি প্রশ্নের জন্য থাকে 4 মার্ক তাহলে মোট 200 নাম্বার হয়ে থাকে।
ইপিএস পরীক্ষায় সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আপনি কত নাম্বার পেয়েছেন তা কম্পিউটারের মনিটরে ভেসে উঠবে কিন্তু কত নম্বরে পাশ এটা আপনি বুঝতে পারবেন না তবে যত বেশি ভালো নাম্বার পান ততই ভালো পরীক্ষা সবার শেষ হওয়ার পর কত নাম্বারে চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশনের জন্য ডাকা হবে তা বোয়েসেল নোটিশে জানানো হবে
বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে যারা সর্বনিম্ন 80 থেকে 100 পর্যন্ত যাদের নাম্বার ছিল তারাও ডাক পেয়েছিল। তাই সিবিটি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই ।
#8 চুড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন এবং কাগজপত্র জমা দেওয়াঃ
1. এসএসসি/সমমান বা ভোকেশনাল/ডিপ্লোমা সনদের মূল কপি ও ফটোকপি।
2. ঢাকা মহানগরস্থ সোনালী ব্যাংকের যে কোনা শাখা হতে ‘বোয়েসেল, ঢাকা বরাবর ২১০০/- টাকার পে-অর্ডার;
3. লটারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীর মূল মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট
4. মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ছবি ও ঠিকানাযুক্ত পৃষ্ঠার পরিষ্কার রঙিন প্রিন্ট ফরমেট # ১ ও ২-অনুযায়ী এবং
5. ০৩ (তিন) কপি রঙিন ছবি ব্যকগ্রাউন্ড সাদা (বিস্তারিত উপযুক্ত বিজ্ঞপ্তির নমুনা অনুযায়ী ছবির
#8 “স্কীল টেস্ট“ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ
বোয়েসেল নোটিসের মাধ্যমে জানিয়ে থাকে সর্বনিম্ন কত নাম্বারে কৃতকার্য হয়েছে সেই মোতাবেক আপনাকে স্কিল টেস্ট পরীক্ষার জন্য আহব্বান করা হবে।
স্কিল টেস্ট পরীক্ষার জন্য আপনাকে কোন কোচিং সেন্টারের সাহায্য নিতে হবে । সেখানে অনেকগুলি যেমন স্কিল আয়ত্ত করতে হবে যেমন- চোখের কালার টেস্ট (কালার ব্লাইন্ড), রিং আটকানো, কাঠি লাগানো, এবং যারা অ্যাসেম্বলিং ক্যাটাগরিতে আবেদন করেছিলেন তাদেরকে নাট বল্টু লাগানো এবং খোলা ইত্যাদি
এ পরীক্ষায় ১০০ মার্কের হয়ে থাকে। একটু মাথা ঠান্ডা করে পরীক্ষা দিলে ৯০-১০০ মার্ক পাওয়া খুব সহজেই সম্ভব।
টেকনিক্যাল কাজের (ওয়েল্ডিং, গার্মেন্টস ইত্যাদ) অভিজ্ঞতা ছয় (৬) মাসে এবং ভোকেশনাল সার্টিফিকেট অথবা পলিটেকনিক সার্টিফিকেট থাকলে এ পরীক্ষায় ৫ মার্ক অধিক পাওয়া যায়।
ইন্টারভিউ দেওয়া কোরিয়ান এর সামনে আপনার নিজের পরিচয় দিতে হবে কোরিয়ান ভাষায় এবং সে আপনাকে প্রশ্ন করবে যে প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে।
কিন্তু পরীক্ষা হয় যে সমস্ত প্রশ্ন করে থাকে সেগুলো নিম্নরূপ
# 10 মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং জব অফার ফর্ম পূরণ
সব পরীক্ষায় পাশ করার পর PRS (Point Recruiting System) এর মাধ্যমে কোটা সমপরিমান লোক রেখে বাকিদের ডিলেট করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ সব পরীক্ষার মোট নাম্বারে যারা পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে তারা কোটাতে চান্স পাবে এবং বাকিরা বাদ পড়ে যাবে।
বোয়েসেলের নোটিশের মাধ্যমে আপনি স্ক্রিল টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে পারবেন। পয়েন্ট ভিত্তিকভাবে আপনি কৃতকার্য হয়ে থাকলে মেডিকেল রিপোর্ট, জব অফার ফর্ম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে
#11 এইচআরডি কোরিয়াতে রোস্টারভুক্ত হওয়া
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে রোস্টারভুক্ত করা হবে। রোস্টার ভুক্ত হলো এইচআরডি কোরিয়া আপনার তথ্য ডাটাবেজে আপলোড করেবে এরমাধ্যমে ইপিএস কর্মী হিসেবে আপনি নিবন্ধনকৃত হলেন। (www.eps.go.kr ) এই ওয়েবসাইটে আপনাকে একটি আইডি খোলতে হবে।আইডিতে প্রবেশ করলে আপনি আপনার সমস্ত তথ্য দেখতে পাবেন।আপনার কাজ হবে কিছুদিন পর পর আইডি তে ঢুকে খোজ খবর নেওয়া। আপনি ভিসা ইস্যু থেকে শুরু করে সমস্ত তথ্য এখান থেকে দেখতে পাবেন।
# 12 ইস্যু হওয়াঃ রোস্টারভুক্ত হওয়ার পর আপনার ছবি, বয়স, বায়োডাটা, কোরিয়ান ভাষায় দেয়া আপনার পরিচয় ইত্যাদি দেখে মালিক পছন্দ করার পর আপনার ভিসা ইস্যু হবে। আপনার ভিসা ইস্যু কোরিয়ান মালিকের উপর নির্ভর করবে। তারপর HRD Korea এর মাধ্যমে BOESL কে জানিয়ে দিবে। বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ মোবাইল, ম্যসেজ বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবে।
#13 ট্রেনিং করাঃ ভিসা ইস্যু হলে বোয়েসেল আপনাকে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দিবে এবং আপনাকে ট্রেনিং করার তারিখ জানিয়ে দিবে। আপনাকে কোরিয়ান টেকনিক্যাল সেন্টার, মিরপুরে 7 দিনের জন্য ট্রেনিং করতে হবে।কোরিয়াতে গিয়ে কাজকরার পরিবেশ কেমন হবে । কোরিয়ান আইন, সংস্কৃতি এবং কাজের স্থানের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে আপনাকে জানানো হবে।
#14 সিসিভিআই ইস্যুঃ ভিসা ইস্যু পরপর অথবা কিছুদিনের মধ্যেই সিসিভিআই ইস্যু হয়ে থাকে। সিসিভিআই হলে ফ্লাইট ডেট ঘোষনা করা হয়ে থাকে।অপরদিকে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ ব্যাংকে জমা দেওয়ার রিসিট, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এবং ফিঙ্গার প্রিন্টের কাগজসহ বোয়েসেলের চাওয়া সমস্ত কাগজ জমা দিতে হবে। বোয়েসেলে কোরিয়ান মালিক প্রদত্ত কন্টাক্ট পেপার সাইন করতে হবে।
#15 ফ্লাইট ঘোষনাঃ বোয়েসেল আপনার পাসপোর্টে কোরিয়ান ভিসা লাগিয়ে দিবে। বোয়েসেল কর্তৃক নির্দিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সিতে বিমান ভাড়া জমা দিতে হবে। বিমান ভাষা 50-60 হাজার টাকার মতে হতে পারে। কোরিয়া আসার পূর্বে বোয়েসেল অফিসে একটা ব্রিফিং দেওয়া হবে। ক্যাপ ও টুপি বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ আপনাকে প্রদান করবে এবং ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আপনার অভিবাবক কোরিয়াতে গিয়ে কোন আইনভঙ্গ করবেনা, অবৈধ হবে না, শ্রমচুক্তির মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফিরে আসবে ইত্যাদি সম্বলিত চুক্তিনামা সাক্ষর করতে হবে। এবং নির্দিষ্ট দিনে কোরিয়া গমন করতে হবে।
#16 কোরিয়াতে 3 দিনের ট্রেনিংঃ কোরিয়ার ইনসন এয়ারপোর্টে নামলেই Kbiz ট্রেনিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে আপনাকে তিন দিনের ট্রেনিং প্রদান করা হবে। এই ট্রেনিং কোরিয়ার কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা, কোরিয়ান আইন, কোরিয়ান সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে আপনাকে জানানো হবে।
#17 কোম্পানিতে যোগদানঃ 3দিনের ট্রেনিং শেষ হলে, ট্রেনিং সেন্টার থেকে আপনাকে নিয়োগকর্তা মালিক বা মালিক প্রতিনীধি আপনাকে কোম্পানিতে নিয়ে আসবে। কোন কোন কোম্পানি আসার সাথে সাথেই আপনাকে কোম্পানিতে কাজ করা জন্য বলবে । কোন কোন কোম্পানি একদিন পর থেকে কাজ করতে দেয়। কোরিয়ার কাজ এবং কাজের পরিবেশ বাংলাদেশের কাজ থেকে অনেক বেশী তফাৎ হওয়ার কারণে প্রথমে অনেকেই হতাশ হয়ে যায়। তবে কোরিয়ানরা আপনাকে কাজ শিখিয়ে দিবে কিভাবে কাজ করতে হবে। একবার না পারলে তারা দশ বার করে শিখিয়ে দেয়।সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। কোরিয়ানরা কোন ভাবেই মারামারি ঝগড়াঝাটি পছন্দ করে না।
#18 বাসস্থান এবং খাদ্যাবাসঃ চুক্তিপত্র অনুযায়ী মালিক আপনার বাসস্থানের ব্যবস্থা করে থাকবে । এজন্য মালিক ভাড়া কাটতেও পারে অথবা নাও কাটতে পারে এবং মালিক চুক্তিপত্র অনুযায়ী আপনাকে এক বেলা বা দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করবে। কোরিয়ান খাবার আমাদের খাদ্যবাস থেকে পার্থক্য হওয়ার কারণে প্রথম দিকে কোরিয়ান খাবার খেতে কষ্ট হবে। কোম্পানির দেওয়া খাবার আপনি না খেলে মালিক আপনাকে খাওয়া বাবদ কিছু অর্থ দিতে পারে অথবা নাও দিতে পারে।
0 Comments